সিরাজগঞ্জ জেলা ২৪০০০' - ২৪০৪০' পশ্চিম অক্ষাংশে এবং ৮৯০২০' - ৮৯০৫০' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত । এ জেলার দক্ষিণে পাবনা, উত্তরে বগুড়া, পূর্বে টাঙ্গাইল ও জামালপুর, পশ্চিমে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলা অবস্থিত। এ জেলার আয়তন ২৪৯৭.৯২ ব: কি.মি.। তাঁত শিল্প এ জেলাকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু এবং সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের অপূর্ব সৌন্দর্য এ জেলাকে পর্যটন সমৃদ্ধ জেলার খ্যাতি এনে দিয়েছে। তাছাড়া শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র কাচারীবাড়ী, এনায়েতপূর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতাল, মিল্কভিটা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ইকোপার্ক, বাঘাবাড়ী বার্জ মাউনন্টেড বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বাঘাবাড়ী নদী বন্দর ইত্যাদি বিখ্যাত স্থাপত্য ও শৈল্পকর্মের নিদর্শন এ জেলাকে সমৃদ্ধতর করেছে। বেলকুচি থানায় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামক একজন ভূস্বামী (জমিদার) ছিলেন। তিনি তার নিজ মহালে একটি ‘গঞ্জ’ স্থাপন করেন। তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ। তাঁর নামে নামকরণকৃত সিরাজগঞ্জ স্থানটি নদীভাঙ্গণে বিলীন হয়। পরবর্তীতে তিনি ভুতের দিয়ার মৌজা নিলামে খরিদ করেন। তিনি ভুতের দিয়ার মৌজাকেই নতুনভাবে ‘সিরাজগঞ্জ’ নামে নামকরণ করেন। ফলে ভুতের দিয়ার মৌজাই ‘সিরাজগঞ্জ’ নামে স্থায়ী রূপ লাভ করে। ভৌগোলিক কারণেই বন্যা, খরা, নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ জেলার জনসাধারণ জর্জরিত। এ সকল কারণে জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দরিদ্র ও বেকার। এ জেলার বেশিরভাগ লোক কৃষি ও তাঁত শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া এ জেলার একটি উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠী মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। |
এই ধরনের আরও পোস্ট চাই।
উত্তরমুছুনধন্যবাদে এ্যাডমিন ভাই।